এনসিপিসহ সব দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ

বাংলার ২৪ ঘণ্টা রিপোর্ট:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সম্ভাব্য জোট নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছে। সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জোটবদ্ধ রাজনীতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমানে সব দলের সঙ্গেই তাদের আলোচনা চলছে। এনসিপি-এর সঙ্গেও রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। তবে এখনই জোট গঠনের বিষয়ে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না, আলোচনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, চলতি মাসের মধ্যেই বিএনপি প্রায় দুইশত (২০০) আসনে একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত (গ্রিন সিগন্যাল) দেবে, যাতে তারা নির্বাচনী এলাকায় কাজ শুরু করতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রত্যেক আসনেই একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন এবং জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত মনোনয়ন নির্ধারিত হবে। যারা মনোনয়ন পাবেন না, তাদেরও দলীয়ভাবে অন্যভাবে মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বিএনপি ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শরিক’ ও গণতন্ত্রপন্থি অন্যান্য শক্তিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে একত্রিশ দফা (৩১ দফা) বাস্তবায়নে কাজ করবে। জোট ও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে শরিকদের যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
এদিকে জোট নিয়ে এনসিপি নেতাদের পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। এনসিপি-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানান, কোনো একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলিত হয়ে রাজনীতি করা বা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো কোনো পরিকল্পনা তারা এখন পর্যন্ত করেননি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, যেহেতু তারা ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছেন, তাই তাদের জায়গা থেকে তারা তিনশত (৩০০) আসনেই কাজ করতে পারবেন।
অন্যদিকে, এনসিপি-এর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আপাতত বিএনপির সঙ্গে জোট গঠন বা আসন সমঝোতা নিয়ে কোনো বিষয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে উভয়পক্ষের নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন।








