জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি জামায়াতের

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে চলমান রাজনৈতিক আলোচনার অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ তাহেরের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল এই আলোচনায় অংশ নেয়।
প্রতিনিধিদলে ডা. তাহের ছাড়াও ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ. টি. এম. মা‘ছুম এবং রফিকুল ইসলাম খান। সরকারের পক্ষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদের ওপর গণভোট আয়োজনের দাবি জানান। ডা. আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, জুলাই সনদে নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যে কারণে জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট হওয়া প্রয়োজন। তিনি যুক্তি দেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট অনুষ্ঠিত হলে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
জামায়াত নেতারা প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন যে, নির্বাচনকালীন প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক গৃহীত যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি তাদের দলের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জামায়াত নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার স্বার্থে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে সকল ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আমরা ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি; সামনে আরও অনেক উদ্যোগ আপনারা দেখতে পাবেন।” তিনি জামায়াত নেতাদের আরও জানান, নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যেকোনো রদবদল তিনি নিজেই সরাসরি তদারকি করবেন এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়েও তিনি নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।