শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘চাঞ্চল্যকর তথ্য’ ফাঁস করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা না বানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাইকোর্ট পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম জানু।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে কটিয়াদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কটিয়াদী উপজেলা কমান্ডের নবগঠিত অ্যাডহক কমিটির পৌর ও ইউনিয়ন কমান্ডের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মাহমুদুল ইসলাম জানু বলেন, “শেখ হাসিনা শহীদ জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। এমনকি হাইকোর্ট পর্যন্ত গেছেন।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, জিয়াউর রহমান কালুরঘাট থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং সেই কথা শুনেই মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে গিয়েছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা হঠাৎ করে ২০ হাজার টাকা করার পেছনে শেখ হাসিনার একটি ‘দুরভিসন্ধি’ ছিল। তার মতে, এর উদ্দেশ্য ছিল—”আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যেন জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা না বানানোর ব্যাপারে কোনো বিরোধিতা না করি, কোনো বিদ্রোহ না করি।” অ্যাডভোকেট জানু বলেন, “এ ঘটনা আমি খুবই ভালো করে জানি। না হলে এত টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেওয়া হতো না।”
মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে অরাজনৈতিক সংগঠন আখ্যা দিলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সন্তান তারেক জিয়ার সমর্থনে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাই জেলার ১৩টি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের পক্ষ থেকে বিএনপিকে সমর্থন জানানোর ঘোষণা দেন অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম জানু।
কটিয়াদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসরাইলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন কমান্ডের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।