বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপের শঙ্কা, হতে পারে ঘূর্ণিঝড়

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২৪ অক্টোবরের দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্য এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা ও আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। অক্টোবরে তিনটি লঘুচাপের একটি মাসের শুরুতে হয়ে গেছে। বাকি দুটি লঘুচাপের একটি নিম্নচাপে বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক:
অক্টোবর শেষের দিকে, চলছে হেমন্তকাল। দেশের গ্রামাঞ্চলে সকালে শীত আসার আভাস পড়তে শুরু করেছে। তবে দেশে এখনও বৃষ্টির প্রবণতা পুরোপুরি কমেনি। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আগামী শুক্রবার নাগাদ বঙ্গোপসাগরে নতুন করে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ কিছু এলাকায় আকাশ মেঘলা থাকবে। রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
দপ্তরটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২৪ অক্টোবরের দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্য এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা ও আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। বর্তমানে মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, লঘুচাপটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মৌসুমি বায়ু চলে যাওয়ার পর স্থানীয়ভাবে সৃষ্ট মেঘেও বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর চলতি মাসের শুরুতে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানায়, অক্টোবরে তিনটি লঘুচাপের একটি মাসের শুরুতে হয়ে গেছে। বাকি দুটি লঘুচাপের একটি নিম্নচাপে বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বছরে সাধারণত দুটি সময় ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। একটি মৌসুমি বায়ু আসার আগে এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে। আরেকটি মৌসুমি বায়ু চলে যাওয়ার পর অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে। দেখা গেছে, বড় ঘূর্ণিঝড়গুলো অনেক সময় নভেম্বর মাসে আঘাত হানে। সে অনুযায়ী চলতি মাসেও ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।