বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলায় অসুস্থতাজনিত কারনে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার সুযোগে নিজেকে স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবী করে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসার অভিযোগ উঠেছে একজন সিনিয়র সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উপজেলার সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা বিভাগের সিনিয়ির শিক্ষক মো. আব্দুল হ্ইা নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবী করে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ঐ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার বসে অফিস করছেন।
তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন, “প্রধান শিক্ষক অসুস্থতাজনিত কারনে মেডিকেল ছুটিতে আছেন। অন্য কোনো শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। সুতরাং প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসা কিংবা নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ঘোষণা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ.স.ম. মনোয়ারুল ইসলাম ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নাজরিন আক্তারের বিরুদ্ধে সোনাতলা থানায় রাজনৈতিক মামলায় আসামী করা হয়। পরে গ্রেফতার এড়াতে তারা দু’জনেই গা ঢাকা দেন। গত দেড় মাস যাবত তারা উভয়েই পলাতক আছেন। এছাড়াও অসুস্থতাজনিত কারনে তারা দু’জনেই মেডিকেল ছুটিতে আছেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত না। তার চেয়ার দখলের জন্য তাকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। জানা যায়, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাকে বিদ্যালয়ে ফেরার পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইতোপূর্বে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ.স.ম মনোয়ারুল ইসলাম জানান, “আমি অসুস্থতাজনিত কারনে মেডিকেল ছুটিতে আছি। বেশ কিছুদিন যাবত নার্ভের সমস্যায় ভুগছি।”
অপরদিকে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হাই জানান, “শিক্ষকরা সবাই মিলে আমাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন। শিক্ষকরা নিয়োগ দিতে পারেন কিনা? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “তাহলে প্রতিষ্ঠান চলবে কিভাবে?”
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজমুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক মেডিকেল ছুটিতে আছেন। তিনিই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার অবর্তমানে কেউ তার চেয়ারে বসলে সেটা অন্যায় করেছেন।
Leave a Reply