ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের পশ্চিম উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে বাংলাদেশী মুসলমানদের বসতি ভেবে একটি বস্তিতে আগুন দিয়েছে সেখানকার হিন্দু রক্ষা দল। বস্তির বাসিন্দারা জানান হামলাকারীরা তাদের বাংলাদেশ থেকে আগত মুসলমান ভেবে তাদের মারধর করে ও বস্তিতে ভাঙচুর চালায়। তবে তারা জানান, তারা বাংলাদেশী নন উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা। সূত্র:বিবিসি
গাজিয়াবাদের এসিপি অভিষেক শ্রীবাস্তব বলেছেন, যাদের ওপর হামলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশী নন, উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশের কাছে দায়ের করা এফআইআরে সূত্রে জানা গেছে, হিন্দু রক্ষা দলের প্রধান পিঙ্কি চৌধুরী ১৫-২০ জন কর্মীকে নিয়ে গুলধর রেল স্টেশনের কাছে সরকারি খাস জমিতে নির্মিত বস্তিতে ভাঙচুর চালান এবং সেখানকার বাসিন্দাদের মারধর করেন। পুলিশ বাধা দিলেও তারা থামেননি।
বিবিসি জানিয়েছে, আক্রান্তরা আবর্জনা কুড়োনোর কাজ করতেন। ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, হিন্দু রক্ষা দলের কর্মীরা এখানে এসে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তারা হিন্দু না মুসলমান। যারা মুসলমান ছিল তাদের মারধর করা হয়েছে।
Leave a Reply