জ্বালানি তেলের দাম কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ

বাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, সপ্তাহজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম কমার অন্যতম কারণ ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য উত্তেজনা। কারণ এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানির চাহিদা কমে যাওয়ার শঙ্কা বেড়েছে। এদিকে মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি ৩৮ লাখ ব্যারেলে, যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি।
বাংলার ২৪ ঘন্টা ডেস্ক:
বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। এ কারণে গত সপ্তাহজুড়ে পণ্যটির দাম কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য দুই সপ্তাহের মধ্যে হাঙ্গেরিতে পুনরায় বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
ফলে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কমে আসতে পারে এমন সম্ভাবনায় গত সপ্তাহের লেনদেনের শেষদিন শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম শুক্রবার ব্যারেলে ২৩ সেন্ট বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬১ ডলার ২৯ সেন্টে।
এ সময় মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৫৭ ডলার ৫৪ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ৮ সেন্ট কম।
প্রাইস ফিউচারস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ফিল ফ্লিন বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে এক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে বড় শান্তিচুক্তি, ইরানের নিরপেক্ষতা এবং ইউক্রেনে সম্ভাব্য সমাধান—এসব প্রভাবে ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি কিছুটা কমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ’
তবে বাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, সপ্তাহজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম কমার অন্যতম কারণ ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য উত্তেজনা। কারণ এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানির চাহিদা কমে যাওয়ার শঙ্কা বেড়েছে।
এদিকে মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি ৩৮ লাখ ব্যারেলে, যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি।
এ বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে সংস্থাটি জানিয়েছে, শরৎকালীন রক্ষণাবেক্ষণের কারণে পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উত্তোলন কমে যাওয়া।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক জ্বালানি তেল উত্তোলন বেড়ে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৩৬ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ।