জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জুলাই যোদ্ধাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জুলাই যোদ্ধারা কমিশনকে অবহিত করেন যে, তাদের অনেকের কাছে স্বাস্থ্য কার্ড থাকা সত্ত্বেও গত কোরবানির ঈদের পর থেকে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। এই অবস্থাকে তারা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক বলে উল্লেখ করেন।

এ সময় তারা আহত জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পক্ষ থেকে একটি লিখিত নির্দেশনা দেশের সকল হাসপাতালে প্রেরণের বিষয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি, জুলাই পরিবারের সদস্যদের জন্য আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং প্রত্যেক জুলাই যোদ্ধাকে একটি নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) প্রদানের বিষয়েও তারা গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় জুলাই যোদ্ধারা গত ১৭ অক্টোবরের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন। তারা জানান, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা সৃষ্টি করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না; বরং তাদের ন্যায্য দাবিগুলো তুলে ধরার জন্যই সেখানে তারা উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে সে সময় ২০ থেকে ২৫ জন বহিরাগত সেখানে অনুপ্রবেশ করে মারামারি ও ভাঙচুরে জড়িত হয়, যাদের পরিচয় তারা চিহ্নিত করেছেন বলেও দাবি করেন।

জুলাই যোদ্ধারা উক্ত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে তারা সেদিন দায়ের করা চারটি মামলা প্রত্যাহারে কমিশনের সহায়তা কামনা করেন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই যোদ্ধাদের উত্থাপিত সব দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে এবং তাদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করা হবে। বৈঠকে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মোঃ সোহাগ মাহমুদ, কামরুল হাসান, মোঃ আল-আমিনসহ আরও অনেকে।