শাহবাগে প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের আটকে দিল পুলিশ

বিশেষ নিয়োগ ও সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ পর্যন্ত পদযাত্রা করতে চাইলে প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের শাহবাগ মোড়ের আগেই ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ এই কর্মসূচি শুরু করে। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা প্ল্যাকার্ড ও স্লোগান দিতে দিতে যমুনা অভিমুখে যেতে চাইছিলেন, কিন্তু পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে তারা সামনে এগোতে পারেননি। এ সময় অনেককে ব্যারিকেড সরাতে টানাটানি এবং পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায়।
‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের’ ব্যানারে এই কর্মসূচি টানা পাঁচ দিন ধরে চলছে। গত ১৯ অক্টোবর থেকে তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন এবং গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ৪০-৫০ জন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট থালা-বাটি নিয়ে ‘ভুখা মিছিল’ করেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক মো. আলী হোসেন বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যমুনার দিকে যাচ্ছিলাম, কিন্তু পুলিশ আমাদের পথ আটকে দিয়েছে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য সচিব আলিফ হোসেন, ডাকসুর সদস্য ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাইসুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ কামরুজ্জামান, আব্দুল ওয়াহেদ, কামাল হোসেন পিয়াস ও প্রতিনিধি আজাদ হোসেন।
প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের পাঁচটি দাবি হলো:
১. প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী বেকারদের জন্য বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। ২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। ৩. জাতীয় শ্রুতিলেখক নীতিমালা সংশোধন করে শ্রুতিলেখক মনোনয়নে স্বাধীনতা দিতে হবে। ৪. সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন ব্রেইলভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম ও পিএইচটি সেন্টারের শূন্য পদে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে (সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ৩৫ বছর হলে তাদের জন্য ৩৭ বছর নির্ধারণ করতে হবে)।