হিমশীতল বরফের দেশ আইসল্যান্ডে মশার গুঞ্জন!

দ্য গার্ডিয়ান বলছে, চলতি মাস পর্যন্ত আইসল্যান্ড ছিল পৃথিবীর কয়েকটি স্থানের মধ্যে একটি, যেখানে কোনো মশা ছিল না। অন্যটি হলো অ্যান্টার্কটিকা।আইসল্যান্ডের ন্যাচারাল সাইন্স ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদ ম্যাথিয়াস আলফ্রেডসন সেখানে মশা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলার ২৪ ঘণ্টা রিপোর্ট:
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে আইসল্যান্ডের পরিবেশ পোকামাকড়ের জন্য অনুকূল হয়ে উঠছে— আর এর ফলেই দেশটিতে প্রথমবারের মতো পাওয়া গেছে মশা।
দ্য গার্ডিয়ান বলছে, চলতি মাস পর্যন্ত আইসল্যান্ড ছিল পৃথিবীর কয়েকটি স্থানের মধ্যে একটি, যেখানে কোনো মশা ছিল না। অন্যটি হলো অ্যান্টার্কটিকা।
আইসল্যান্ডের ন্যাচারাল সাইন্স ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদ ম্যাথিয়াস আলফ্রেডসন সেখানে মশা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক বিজ্ঞানীর পাঠানো নমুনা পরীক্ষা করে তিনি নিজেই মশাগুলো শনাক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, কিডাফেলে, কিওস-এ এই প্রজাতির তিনটি নমুনা পাওয়া গেছে- দুটি স্ত্রী ও একটি পুরুষ। এগুলো সবই মথের জন্য পাতা ওয়াইন ফাঁদ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই ধারণা করে আসছিলেন যে, আইসল্যান্ডে একসময় মশা বাসা বাঁধবে, কারণ দেশটিতে রয়েছে প্রচুর প্রজনন উপযোগী স্থান— যেমন: জলাভূমি ও পুকুর। তবে কঠোর আবহাওয়ার কারণে অনেক প্রজাতির সেখানে টিকে থাকা কঠিন।
কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। আইসল্যান্ডে উষ্ণতা উত্তর গোলার্ধের গড় হারের চেয়ে চার গুণ দ্রুত বাড়ছে। দেশটির হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, আর দক্ষিণের উষ্ণ অঞ্চলের মাছ— যেমন ম্যাকেরেল— এখন আইসল্যান্ডের পানিতেও ধরা পড়ছে।
পৃথিবী উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মশার নতুন প্রজাতিও বিশ্বজুড়ে দেখা দিচ্ছে। যুক্তরাজ্যে এ বছর মিশরীয় মশার (ডিস ইজিপ্টাই) ডিম পাওয়া গেছে, আর এশীয় টাইগার মশা (এডিস এলবোপিকটাস) শনাক্ত হয়েছে কেন্ট এলাকায়। এই দুই প্রজাতিই আক্রমণাত্মক এবং ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের মতো উষ্ণমণ্ডলীয় রোগ ছড়াতে পারে।