সেলিম সরকার, বগুড়া:
দুপচাঁচিয়ায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধু সালমা হত্যার ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজকে (১৯) গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে জেলার কাহালু থানার পাঁচপীর আড়োবাড়ী এলাকায় সাদ এর দাদা মো. রমজান মোল্লার বাড়ি থেকে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে । গত ১০ নভেম্বর রোববার দুপুরে দুপচাঁচিয়া শহরের বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের পার্শ্বে জয়পুরপাড়া মহল্লায় ৪তলা বাসার তৃতীয় তলায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত সালমা খাতুনের স্বামী মাওলানা আজিজুর রহমান (৫৬) দুপচাঁচিয়া দারুসসুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা জামে মসজিদের খতিব।
র্যাব জানায়, মা উম্মে সালমা খাতুন (৫০) এর সাথে সাদ বিন আজিজুর রহমানের হাত খরচের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া বিবাদ হতো। প্রায় প্রতিদিনই ঘর থেকে ৫০০-১০০০ টাকা হারিয়ে যেতো। এসব নিয়ে তার মা তাকে বকাবকি করতো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুত্র সাদ নিজ বাসায় তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে (৫০) হত্যার পর ডিপ ফ্রিজের ভিতর লাশ ঢুুকিয়ে রাখে।
নিজ বাসায় দিনে-দুপুরে গৃহবধু সালমা হত্যার ঘটনায় ঐদিন এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। র্যাব জানায়, ঘটনার দিন সকালে তার মা ভিকটিম উম্মে সালমার সাথে হাত খরচের টাকা নিয়ে কথার কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডা হয়। পরে আসামী রাগ করে সকালের নাস্তা না খেয়ে সাদ মাদ্রাসায় চলে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় ফিরে মিষ্টি কুমড়া কাটার সময় সালমা বেগমকে পেছন দিক থেকে নাক-মুখ চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ সময় সালমা বেগম বাঁচার চেষ্টা করলে তার হাতে থাকা দা দিয়ে সাদ এর তর্জনী আঙ্গুলের নিচে হালকা কেটে যায়।
র্যাব জানায়, হত্যার পর ঘটনাটিকে ডাকাতি হিসেবে চালিয়ে দিতে সাদ তার মাকে ফ্রিজের ভেতর ঢুকিয়ে রাখে এবং আলমারির কাপড়-চোপড় এলোমেলো অবস্থায় ফেলে রেখে তার বাবাকে ফোন করে বাসায় ডাকাতি হয়েছে বলে জানায়। পরে তার বাবা মাওলানা আজিজুর রহমান বাসায় ফিরে সালমা বেগমকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে এক সময় সাদ নিজেই ডিপ ফ্রিজ খুলে তার বাবাকে গৃহবধু সালমার হাত-পা বাঁধা লাশ দেখায়।
Leave a Reply