সেলিম সরকার, বগুড়া:
বগুড়া জেলা এ্যাডভোকেট্স বার সমিতির নির্বাচনে ১৩টি পদের সবগুলোতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত মুক্তা-রফিক প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিনভর ভোট গ্রহণ শেষে রাত সোয়া ১২টায় ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মেয়াদের জন্য অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান এ্যাডভোকেট জহুরুল হক জাফর। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত আইনজীবীরা নির্বাচনে কোনো প্রার্থী না দিলেও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। অপরদিকে, জামায়াত পূর্ণ প্যানেলে এবং জাসদ সমর্থিত আইনজীবীরা আংশিক প্যানেলে পৃথকভাবে নির্বাচনে অংশ নেন।
প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়, ৪৪০ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত মুক্তা-রফিক প্যানেলের এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত সমর্থিত ফোরাম ল’ইয়ার্স কাউন্সিল এর প্রার্থী এ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দীন পেয়েছেন ১৫৭ ভোট। ৩৪৩ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেলের এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম (১)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি মনোনীত পল্টু-ববি পরিষদের প্রার্থী আব্দুল লতিফ পশারী ববি পেয়েছেন ৩২৯ ভোট।
অন্যান্য বিজয়ীরা হলেন, সহ-সভাপতি পদে যথাক্রমে এ্যাডভোকেট আতিকুল মাহবুব সালাম, শফি আহম্মেদ মিঠু, যুগ্ম সম্পাদক পদে যথাক্রমে আব্দুল মতিন মন্ডল, এস এম নুরুজ্জামান মেহবুব, লাইব্রেরী ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে জাকারিয়া সরকার ফেরদৌস, ম্যাগাজিন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এস আব্দুল্লা-হীল বাকি লিপন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে, আশাবুদ জামান আশিব, নিউটন খন্দকার, মিন্টু কুমার সরকার, মোস্তফা শাকিল, মৌসুমী আকতার।
এবারের নির্বাচনে ১৩টি পদে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাসদের মোট ৪৮জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
আওয়ামীলীগ সমর্থিতরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বিএনপি ও জামায়াত পৃথকভাবে পূর্ণ প্যানেলে এবং জাসদ আংশিক প্যানেল দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। মোট ৮৬২ ভোটারের মধ্যে ৭৮৯ জন তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নব-নির্বাচিত কমিটি আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, বার সমিতির আয় বৃদ্ধি, বেনাভোলেন্ট ফান্ড বৃদ্ধি, দুর্নীতি ও দালালমুক্ত আদালত গঠন, আইনজীবীদের বসার উপযুক্ত জায়গা নিশ্চিতকরণ, আইন পেশার উৎকর্ষ সাধনসহ আইনজীবীদের স্বার্থ ও কল্যাণে সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply