ঢাকা অফিস: মানবসেবা, ন্যায়বিচার এবং সাম্যের ভিত্তিতে একটি উন্নত ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল ‘দেশ জনতা পার্টি’। শনিবার রাজধানীর কাওরানবাজারের ইডিবি ট্রেড সেন্টারে দলটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইকবাল কবির। তিনি বলেন, “দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক চেতনার ভিত্তিতে একটি শোষণমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে আমরা কাজ করব।”
দলের চেয়ারম্যান মো. নূর হাকিম ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতা নয়, বরং দেশের জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। আমরা দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে বিশ্বাস করি। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়—এমন নীতিতে আমরা অটল।”
দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
ঘোষণাপত্রে দলটির প্রধান লক্ষ্যগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে:
সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা।
দারিদ্র্যমুক্ত, কার্বন নিঃসরণহীন ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গঠন।
মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার নিশ্চয়তা।
নিরাপদ ও বাসযোগ্য একটি মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ।
মত প্রকাশের অধিকার, ভোটাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
দলটি ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ঢাকার তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ ভবনে যাত্রা শুরু করে। নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে ‘দেশ জনতা পার্টি’ একটি গণতান্ত্রিক, অসম্প্রদায়িক ও উদার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কমিটি ঘোষণা:
সংবাদ সম্মেলনে ১০৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটিরও ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় মো. নূর হাকিমকে চেয়ারম্যান এবং ইদ্রিস আলী নান্টুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কর্মসূচি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
দলটি ইউনিয়নভিত্তিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সেবাব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করবে। পাশাপাশি, বেকারত্ব দূরীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং মানবিক রাষ্ট্র গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা বলেন,‘দেশ জনতা পার্টি’ দেশের প্রচলিত আইন, সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রেখে কাজ করবে। দলটি একটি সুষম গণতান্ত্রিক মডেল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চায়।
নতুন এই রাজনৈতিক দলটির নেতারা দেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করার দৃঢ় প্রত্যয় করেন।
Leave a Reply