1. salimsarker2015@gmail.com : Banglar24ghanta.com :
আবু সাঈদ মহাকাব্যের ক্যারেক্টার: ড. ইউনূস - বাংলার ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
এইমাত্র পাওয়া
রায়গঞ্জে খাস পুকুর রক্ষা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আদিবাসীদের মানববন্ধন রাজশাহীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হোটেল স্টার বগুড়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রীকে অপহরণ বগুড়ায় করতোয়া নদী উদ্ধারে টিএমএসএস ইকোনোমিক জোনে উচ্ছেদ অভিযান বগুড়ায় সেলিম হোটেল চালুর দাবীতে মানববন্ধন বগুড়ায় অপহৃত ট্রাক চালককে উদ্ধারে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য আহত আটক ৩ সিরাজগঞ্জে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় বাস মালিককে জরিমানা গাজায় বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বগুড়ায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ রায়গঞ্জে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত বগুড়ায় সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় অস্ত্রসহ ৬ জন গ্রেফতার
চাকরি
বগুড়ায় রাজশাহী ডিবি পুলিশের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার রাজশাহীতে ৪০তম বিসিএস পুলিশের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত বগুড়ায় মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত দশম গ্রেডের দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের সুপারিশ করবে কমিশন রাজশাহীর সারদায় ১৬৭তম টিআরসি ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত বগুড়ায় পিলখানা হত্যাকাণ্ডে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন সরকারি কর্মচারীদের জন্য গ্রেডভিত্তিক মহার্ঘ ভাতা প্রস্তাব চূড়ান্ত বগুড়ায় এসেনসিয়াল ড্রাগস-এর চাকুরিচ্যুতদের সাংবাদিক সম্মেলন বগুড়ায় এখন টিভির সিইও’র বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

আবু সাঈদ মহাকাব্যের ক্যারেক্টার: ড. ইউনূস

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪
আবু সাঈদ মহাকাব্যের ক্যারেক্টার: ড. ইউনূস
আবু সাঈদ মহাকাব্যের ক্যারেক্টার: ড. ইউনূস

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুর সফরে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এক আবেগঘন বক্তব্য দিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর এই বক্তব্য মূহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, ‘তোমাদেরকে সালাম দিতে এসেছি। তোমরা আমাদের মুক্ত করেছো। আজকে গেলাম আবু সাঈদের বাড়িতে। সে শুধু এখানে প্রাণ দিয়েছে তা না। আমরা মহাকাব্য পড়ি না, মহাকাব্যের নায়ক থাকে, কী সাংঘাতিক ঘটনা ঘটে। আমরা মনে করি এই নায়ক নায়িকারা কী সাংঘাতিক রকমের ক্যারেকটার। আবু সাঈদ হলো মহাকাব্যের ক্যারেক্টার।’

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এটা নিয়ে বহুত কাব্য, বহুত সাহিত্য, বহুত কিছু রচনা হবে। বিষয়টা হচ্ছে সে যেটা দেখায়া গেল। চমকে দিয়েছে সবাইকে। সে গুলিটা খেয়ে যে ছবিটা দেখালো, আর মানুষকে থামানো যায়নি। আর থামানোর উপায় নেই। সবাই তখন বলছে, আমিই আবু সাঈদ, আমি আবু সাঈদ। সে যখন জীবন দিয়েছে, আমিও দেবো। সারাদুনিয়া চমকে গেছে। তোমরা যেটা করেছো এটা শুধু বাংলাদেশের ঘটনা নয়, সবাই দেখতেছে, কী ভীষণ ব্যাপার।’

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সিন্ডিকেট রুমে শিক্ষার্থীদের সাথে সোয়া ঘণ্টাব্যাপী মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা তার গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার গল্প শোনান। তিনি বলেন, ‘সে সময় নারীদের হাতে টাকা দিয়ে দেয়া চ্যালেঞ্জের ছিল। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করেছি। ধীরে ধীরে নারীদের উন্নয়ন হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে সামাজিক ব্যবসার মডেল।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ তরুণদের বাংলাদেশ। তরুণদের এখন কেউ টেনে রাখতে পারবে না। পথ পরিষ্কার করতে হবে।’

সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা কি দেশের মানুষ না? তারা কয়টা পরিবার? পুরো দেশ রক্ষা করতে পারছো, আর এ কয়েকটা পরিবারকে তোমরা (শিক্ষার্থীরা) রক্ষা করতে পারবা না? এরা তোমাদের সাথেই আন্দোলনে ছিল। বাড়ি গিয়ে দ্যাখে তার ঘর লুটপাট হয়ে গেছে, এগুলো লুটপাটওয়ালাদের কাজ।’

তিনি বলেন, ‘তোমরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের নিরাপদে রাখবা। বলবা, সবাই আমরা ভাই। বাংলাদেশ এক পরিবার। পৃথিবীতে বহু দেশ আছে, এত সুন্দর পরিবার নেই। এত সুন্দর একটা দেশ, কোথায় চলে যেতে পারতাম আমরা! শুধু মনটা শক্ত রাখতে পারলে হতো। আর তোমাদের (তরুণ) রাস্তা খুলে দিলে আমরা মুক্ত হয়ে যেতাম।’

কিছু ব্যক্তি অন্যের মদদের সহিংসতা করছে বলে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘গোলমাল লাগাতে পারলে তাদের খুব মজা। সব সময় তারা চেষ্টায় আছে তোমাদের আটকে দেয়ার জন্য।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেগম রোকেয়া নারীদের মুক্ত করেছেন। এখন রংপুর পুরো বাংলাদেশ মুক্ত করবে।’

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জে মেরিন অ্যাকাডেমিতে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে গাড়িবহরে করে জাফরপাড়ার বাবনপুরে আসেন। ১১টা ৩ মিনিটে তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন। পরে তিনি আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।

এ সময় ড. ইউনূস বলেন, ‘এটা আবু সাঈদের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই আবু সাঈদ। আবু সাঈদের মা সবার মা। এখানে যারা আছে (আবু সাঈদের পরিবার) তাদের রক্ষা করতে হবে। তার মা আছে, বোন আছে, তাদের রক্ষা করতে হবে।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আবু সাঈদ এখন ঘরে ঘরে। প্রত্যেক ঘরে আবু সাঈদ। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবারই সন্তান। এখানে হিন্দু পরিবার হোক, মুসলমান পরিবার হোক, খ্রিস্টান পরিবার হোক, বৌদ্ধ পরিবার হোক সবার ঘরের সন্তান এই আবু সাঈদ। কাজেই আপনারা খেয়াল রাখবেন, কোথাও যেন কোনো গোলোযোগ যেন না হয়। কেউ ধর্ম নিয়ে কথাবার্তা না বলে। কারণ আমরা এই মাটিরই সন্তান, সবাই আবু সাঈদ। আবু সাঈদসহ অন্যদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ রেখে এগিয়ে যাওয়া সকলের দায়িত্ব।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান বলেন, ‘জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এই মাটির সন্তানদের রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। আমরা যেন এটা নিশ্চিত করি। আবু সাঈদ যেমন দাঁড়িয়েছে, আমাদেরকেও সেভাবে দাঁড়াতে হবে। যারা পার্থক্য করে, এ রকম সন্তান ওরকম সন্তান, এ রকম না। আমরা সবাই বাংলাদেশী, আমরা বাংলাদেশেরই সন্তান। আবু সাঈদের মা সবার মা এবং সবার মা আবু সাঈদের মা। কাজেই তাকে রক্ষা করতে হবে, তাদের বোনদের রক্ষা করতে হবে, তাদের ভাইদের রক্ষা করতে হবে। সবাই মিলে এটা করতে হবে।’

পোস্টটি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
আমাদের কোনো লেখা কিংবা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনী।
বাংলার ২৪ ঘন্টা © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত