সিলেট প্রতিনিধি: সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী দনা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তাঁর নিকট বিট্রিশ পাসপোর্ট ছিল।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দনা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে বিজিবির ক্যাম্পে রাখেন।
শুক্রবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানিকের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি জঙ্গলের ভেতর কলাপাতা বিছিয়ে শুয়ে আছেন। উপস্থিতদের তিনি বলছেন, ‘টাকা লাগলে দেব। আমার ভাই-বোন দেবে। আমি এ দেশে এত কষ্ট করে এসেছি কি বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য?’
জানা যায়, আটকের সময় একটি ভিডিও রেকর্ড করা হয় মানিকের। ভিডিওতে দেখা যায় বিজিবি সদস্যরা তার পরিচয় জানতে চান। নিজের পরিচয় স্বীকার করে মানিক বলেন, আমি বিচারপতি মানিক। এ সময় সঙ্গে কী আছে জানতে চলে মানিক বলেন, আমার কাছে অনেক টাকা ছিল। আমাকে মেরে ৬০-৭০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে দুজন। এখন আমার সঙ্গে ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট আর কিছু টাকা আছে।
আটকের পর স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেন, আমি ১৫ হাজার টাকার কথা বলে সীমান্ত পার হতে চাচ্ছিলাম। পরে আমাকে দুই ছেলে ভারত সীমান্তে নিয়ে আমার সঙ্গে থাকা সব টাকা এবং মোবাইল নিয়ে যায়।
ভিডিওতে আরো দেখা যায়, কেউ সাবেক বিচারপতি মানিকের গলায় গামছা পেছিয়ে হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন। আরেকজন তার নাম জিজ্ঞেস করছেন। এ সময় বিচারপতি মানিক তার পুরো নাম বলেন এবং তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ বলে জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরের দিকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে দনা সীমান্ত এলাকা পাড়ি দিয়ে ভারত সীমান্তে প্রবেশ করেন। এ সময় বাংলাদেশী হিসেবে সন্দেহ হলে স্থানীয় কিছু লোকজন তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বাংলাদেশের সাবেক বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলে পরিচয় দেন।
পরে ভারতীয় গ্রামবাসী দনা পাতিছড়া গ্রামের রফিকুল হোসেনের ছেলে সাদ্দামের সহায়তায় বিচারপতি মানিককে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। এরপরই বিজিবি তাকে আটক করে। সাদ্দাম হোসেনের বসতবাড়িটি বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তঘেঁষা এলাকায়।
Leave a Reply