বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক ২ সংসদ সদস্যসহ ১৪১ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। রোববার দুপুরে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বাদি হয়ে শেরপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে সশস্ত্র হামলা ও মারপিটের অভিযোগে আওয়ামীলীগের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান মজনু, তাঁর পুত্র শেরপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সারোওয়ার রহমান মিন্টু, আরেক সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাবিবর রহমান, তাঁর পুত্র ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসিফ ইকবাল সনি, সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) কোরবান আলী মিলনসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরো ১৪১ জনকে মামলায় আসামী করা হয়েছে।
এছাড়াও ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সীমাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান গৌরদাস রায় চৌধুরী, খামারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন মহসীন, সুঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জিন্নাহ ও বিশালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেনকে মামলায় আসামী করা হয়েছে।
মামলায় অন্যান্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন, শেরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আম্বীয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র নাজমুল আলম খোকন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর শুভ ইমরান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান ভুট্টো, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সানি।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বেলা সোয়া এগারোটার দিকে শেরপুর শহরের খেজুরতলায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের পশ্চিমপাশে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ওপর নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবিতে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন। এসময় এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ লোহার রড, লাঠি নিয়ে বিএনপির ওই মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছুঁড়ে এবং হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এসময় সোহাগ ও শান্ত নামের দুইজন গুরুতর আহত হন। এছাড়া লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ আপেল, যুবদল নেতা আশরাফুদ্দৌলা মামুন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা শাহ কাওছার কলিন্সসহ বেশকয়েকজন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করা হয়। এরপর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে এক লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি করেন বলে মামলার এজাহারে দাবি করা হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply