গবেষণা রিপোর্ট: পুরুষের শুক্রাণু নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

প্রতিবার বীর্যপাতে প্রায় ৩০-৫০ কোটি শুক্রানু নারীর যোনিতে প্রবেশ করে। যেহেতু শুক্রাণুগুলো নারীর দেহের কোনো অংশ নয়, কাজেই নারীদেহ এসব শুক্রাণুগুলোকে বহিরাগত হিসেবে চিহ্নিত করে। আর এসব শুক্রানুকে হত্যা করার জন্য তার ইমিউন সিস্টেমকে এক্টিভ করে দেয়। ইমিউন সিস্টেম এক্টিভ হবার সাথে সাথেই শরীরে থাকা B-cell একধরণের অ্যান্টিবডি প্রস্তুত করতে থাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুরুষের শুক্রাণু তার সঙ্গীনির ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করার মাধ্যমে নারীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাম্প্রতিক গবেষণায় এ সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মিলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীর যোনীতে শুক্রাণু প্রবেশের পর তার শরীর এটাকে বহিরাগত উপাদান বা ক্ষতিকর কিছু মনে করে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। শরীরের ইমিউন সিস্টেম শুক্রাণুগুলোকে হত্যা করতে অনেক বেশি সক্রিয় হয়। আর এতেই নারীর শরীরেিইমিউন সিস্টেম উন্নত হয়ে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, বীর্যে থাকা বিশেষ প্রোটিন ও বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান নারীর ইমিউন সিস্টেমকে প্রথমে সক্রিয় করে, পরে ধীরে ধীরে টলারেন্স তৈরি করে। অপরদিকে, জার্নাল অব রিপ্রোডাকটিভ ইমিউনোলজি-তে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, শুক্রাণুর বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নারীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। পাশাপাশি নারীর শরীরে একই সঙ্গে গর্ভধারণের জন্য সহায়ক এক ধরনের ইমিউন মেমোরি গড়ে ওঠে।
প্রতিবার বীর্যপাতে প্রায় ৩০-৫০ কোটি শুক্রানু নারীর যোনিতে প্রবেশ করে। যেহেতু শুক্রাণুগুলো নারীর দেহের কোনো অংশ নয়, কাজেই নারীদেহ এসব শুক্রাণুগুলোকে বহিরাগত হিসেবে চিহ্নিত করে। আর এসব শুক্রানুকে হত্যা করার জন্য তার ইমিউন সিস্টেমকে এক্টিভ করে দেয়। ইমিউন সিস্টেম এক্টিভ হবার সাথে সাথেই শরীরে থাকা B-cell একধরণের অ্যান্টিবডি প্রস্তুত করতে থাকে। যা পরবর্তীতে এই অ্যান্টিবডি একে এক সকল শুক্রাণুদের হত্যা করা শুরু করে দেয়।
এই বিশাল হত্যাযজ্ঞকে অতিক্রম করে কেবল কয়েকশো শুক্রাণু নারীর জরায়ুতে পৌছাতে পারে। পরবর্তীতে এই কয়েকশো শুক্রাণু থেকে কেবল একটি শুক্রাণু ডিম্বানুর ভিতর প্রবেশ করে ও নিষেক সম্পন্ন করে জাইগোট গঠন করে। এই জাইগোটই হচ্ছে মানব জীবনের প্রথম কোষ।