নিজের চিকিৎসা দেশে নেওয়াটাই প্রতিবাদ : জামায়াত আমির

“আপনি দেশ বদলাবেন, জাতিকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখাবেন, অথচ নিজের দেশের চিকিৎসা পছন্দ হবে না—তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। যখন কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ দেশে চিকিৎসা নেবেন, তখনই উপলব্ধি করবেন আমাদের চিকিৎসায় কোথায় ঘাটতি আছে। সেদিনই কেবল পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাঁচি-কাশি হলেই যারা বিদেশে চিকিৎসার জন্য ছুটে যান, তাদের জন্য নিজের চিকিৎসা দেশে নেওয়াটাই একধরনের প্রতিবাদ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। দীর্ঘ দেড় মাস পর এদিন প্রকাশ্যে কোনো দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিলেন জামায়াতের শীর্ষ নেতা।
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। পরে ২৯ জুলাই রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করালে তাঁর হৃদযন্ত্রের তিনটি প্রধান রক্তনালিতে ব্লক ধরা পড়ে। এরপর ২ আগস্ট ঢাকারই একটি হাসপাতালে তাঁর বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়।
দেশের চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে জামায়াত আমির বলেন, “বাংলাদেশে চিকিৎসা নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল যারা হাঁচি-কাশি হলেই বিদেশে চলে যান, তাদের জন্য একটি প্রতিবাদ। রাজনৈতিক মহলের বন্ধুদের বলবো, যে চিকিৎসা একেবারেই দেশে নেই, সেক্ষেত্রে বাইরে যাওয়া যায়। কিন্তু যে চিকিৎসা দেশে হয়, তার জন্য বিদেশে যাওয়া উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আপনি দেশ বদলাবেন, জাতিকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখাবেন, অথচ নিজের দেশের চিকিৎসা পছন্দ হবে না—তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। যখন কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ দেশে চিকিৎসা নেবেন, তখনই উপলব্ধি করবেন আমাদের চিকিৎসায় কোথায় ঘাটতি আছে। সেদিনই কেবল পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে।”
চিকিৎসার পর ফের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়ে জামায়াত আমিরের এ বক্তব্যকে রাজনৈতিক মহলে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।