বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের মূল হোতাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ জন এবং সোমবার (১৪ অক্টোবর) একই চক্রের আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেন। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডাকাতদল কর্তৃক ছিনতাই হওয়া মহিষবাহী একটি মাহেন্দ্র পিকআপ উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত তিনজন হলেন, জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার চাকলমুয়া গ্রামের মো. আনছের আলীর পুত্র মো. আক্কাস আলী (৪২), সুলতান মণ্ডলের পুত্র সুজাউল ইসলাম ও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ডরিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের পুত্র বেলাল মুন্সী (৫০)। আগের দিন সোমবার গ্রেফতারকৃত তিনজন হলেন, জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার দুধাইল গ্রামের বেলাল হোসেনের ২ পুত্র আপেল ইসলাম ও আ. শহিদ এবং সুনীল চন্দ্র মালির পুত্র সজল চন্দ্র মালি।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার গোদারবাগ গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র মো. তোজাম রাজশাহী থেকে ৬টি মহিষ কিনে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ফেরার পথে বগুড়ার শেরপুর থানার মির্জাপুর ইউনিয়নের সুখানগাড়ি গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছলে ডাকাতরা রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে তাদের পথ রোধ করে। এ সময় তারা তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ৮ লাখ মূল্যের ৬টি মহিষ ও মহিষবাহী মাহেন্দ্র পিকআপ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় পরদিন শেরপুর থানায় একটি ডাকাতির মামলা রেকর্ড করা হয়।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) মো. আমিনুল ইসলাম গত ১৭ সেপ্টেম্বর বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার কাগইল এলাকা থেকে মাহেন্দ্র পিকআপটি উদ্ধার করেন। পুলিশ জানায়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার একমাস পর গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের ঐ সদস্যদের গত ২ দিনে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply