ওয়াহেদ ফকির, বগুড়া: বগুড়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় এই বিশেষ দিনটি।
বগুড়া আলতাফুনেচ্ছা খেলার মাঠে জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত প্রধান সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। তিনি বলেন, “জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল। অতীতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদল তাদের অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছাত্রদলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে, তবে ঐতিহ্য ও চেতনার আলোকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে ছাত্রদল।”
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকারের সভাপতিত্ব এবং সাধারন সম্পাদক এমআর হাসান পলাশের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সাবেক পৌর মেয়র এ্যাডভোকেট একেএম মাহবুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, ভিপি সাইফুল ইসলাম, আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকির, এম আর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, এম মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার, জাহিদুল ইসলাম হেলাল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাদারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খাদেমুল ইসলাম খাদেম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবু হাসান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, বিএনপিকে ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে। একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই দেশের জনগণ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে, যা ষড়যন্ত্রকারীরা মেনে নিতে পারছে না।
উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হওয়া এই আয়োজনের শুরুতে দলীয় কার্যালয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে মাঠে উপস্থিত হন। শোভাযাত্রায় মুক্তিযোদ্ধার স্তম্ভ, হাতি-ঘোড়ার প্রতীক, পালকি ও বর-বধূর সাজে মিছিল ছিল বিশেষ আকর্ষণ। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধোর স্তম্ভ, হাতি, ঘোড়াগাড়ি, পালকি, বর ও বৌ সেজে মিছিল নিয়ে আলতাফুনেচ্ছা খেলা মাঠে আসেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে অসহায় ও সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও বেলুন উড়ানো, কেক কাটা এবং পায়রা উড়ানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বক্তারা জাতীয় ঐক্য ও সংগঠনের শক্তি দিয়ে ভবিষ্যতের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply