ওয়াহেদ ফকির, বগুড়া: বগুড়ায় সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন শামীম আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তি। রবিবার রাতে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২৫ জনকে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দীন। মামলার বাদী শামীম আহম্মেদ শহরের নারুলী সুলতানপট্টি এলাকার মৃত অসমত আলীর পুত্র।
মামলার আসামিরা হলেন, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু, সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন ও আসাদুর রহমান দুলু, কোষাধ্যক্ষ মাসুদার রহমান মিলন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক, বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, রেজাউল করিম ডাবলু ও আরিফুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান ডিউক।
মামলার বাদী শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাতমাথার দিকে রওনা হই। শহরের ফতেহ আলী বাজার এলাকায় মিছিলের সাথে যোগদান করি। এসময় মজিবর রহমান মজনু ও রাগেবুল আহসান রিপুরের নির্দেশে ৫ থেকে ৯ নম্বর আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ করে। আমি এর প্রতিবাদ জানালে শুভাশিস পোদ্দার লিটন তার পিস্তল দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোঁড়ে এবং আমার বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হই।
এছাড়া আমিনুল ইসলাম শটগান দিয়ে আমাকে গুলি করলে আমার দুই পায়েই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হই। পরে স্থানীয়রা আমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসা নিয়ে একটু সুস্থ হলে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করি।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, ছাত্র আন্দোলনে আহত শামীম আহম্মেদ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply