নির্বাচনে বাধা আসবে,সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রফেসর ইউনূস বলেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না, তারা যত রকমে পারবে তত রকমভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করবে। কিছু কিছু লক্ষণ এখন দেখা যাচ্ছে। সামনে আরো আসবে। এজন্য আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে।
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাধা আসবে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘প্রতি পদে পদে বাধা আসবে, সবার মনে দ্বন্দ্ব তৈরি করার চেষ্টা হবে। আমরা যেন সঠিক থাকি, স্থির থাকি। সবাই একসাথে সহযোগিতা করি। আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে।’
তবে বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক না কেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের সাথে বৈঠকে তিনি একথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘যারা জীবনে কখনো ভোট দিতে পারেনি তাদের জন্য এই নির্বাচনে ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। যারা ভোট দিতে গিয়ে পূর্বে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তাদেরও ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। কেউ যেন বলতে না পারে যে আমাকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি।’
প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না, তারা যত রকমে পারবে তত রকমভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করবে। কিছু কিছু লক্ষণ এখন দেখা যাচ্ছে। সামনে আরো আসবে। এজন্য আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে।’
‘আমাদের চেষ্টা হবে নির্বাচন করার এবং নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত সরকারের হাতে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করব।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুস্পষ্টভাবে বলেছেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে অন্য দেশের থাবা মারার কোনো সুযোগ যেন না থাকে। এ জন্য নির্বাচন আয়োজনে সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এ নির্বাচন হবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর, সাহস অর্জনের, নিজের ভঙ্গিতে দেশ পরিচালনার নির্বাচন। এই নির্বাচনে অন্য দেশের থাবা মারার কোনো সুযোগ যেন না থাকে। এই নির্বাচন আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’
নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন অনন্য। এটি কেবল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচন নয়। এটি দেশের সকল মানুষের, সকল রাজনৈতিক দলের নির্বাচন।
এই নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা হলো ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণের। এই নির্বাচন হবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর, সাহস অর্জনের, নিজের ভঙ্গিতে দেশ পরিচালনার নির্বাচন।’
দুর্গাপূজার সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সারা দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। অনেক গণ্ডগোল তৈরি করার চেষ্টা হবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এবারো উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে অংশ নেন এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।