কোম্পানীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে একরামুল হক মান্নান ওরফে মনা নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর বসতঘরে তল্লাশী চালিয়ে বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে অভিযুক্ত মনার বসতবাড়িতে এ অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত প্রায় ডজনখানেক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ হাফেজের বাড়িতে এ সন্ত্রাসী হামলা ও মালামাল লুটের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে একরামুল হক মনাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একরামুল হক মনার ছেলে ইফাত হোসেন কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। গত এক বছর যাবত অভিযুক্ত একরামুল হক মনা ও তার ছেলে ইফাতসহ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ফাতেমা বেগমের পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। শুক্রবার রাতে মনার ছেলে ইফাতের নেতৃত্বে কিশোর-গ্যাং এর ১৪/১৫ জন সন্ত্রাসী ফাতেমার বসত ঘর ভাঙচুর করে, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৪৫লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এর আগেও গত ৬ মে ওই কিশোর গ্যাং সদস্যরা হামলা চালিয়ে ফাতেমার ছেলে নজরুলকে গুরুতর আহত করে।
নজরুল ইসলাম বলেন, “মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও রোববার দুপুরে মনাও তার কিশোর পুত্র ইফাতসহ সন্ত্রাসীরা এসে আমাকে ও আমার মা বোনকে হত্যার হুমকি দেয়। আমি ফোনে সেনাবাহিনীকে জানালে সেনাবাহিনী আসার আগেই খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। ”
জানা গেছে, সেনাবাহিনীর একটি দল মনার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে মনা ও তার পুত্র ইফাতকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি।
নজরুল অভিযোগ করেন, “সন্ধ্যার পর মনা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আবারও এসে হুমকি-ধমকি দিয়ে গেছে। এ কারণে তিনি পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।