হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, “গাজায় যুদ্ধের অবসান, দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহার, মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং বন্দি বিনিময়ের জন্য একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।” সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, এই প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতির শর্তাবলীতে উভয় পক্ষই বাস্তব অগ্রগতি অর্জন করেছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীও চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক ধাপ কার্যকর হলে সেনারা নির্ধারিত সীমান্তে ফিরে যাবে, তবে “যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বুধবার (৯ অক্টোবর) সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। খবর— আল জাজিরা।
ট্রাম্প লিখেছেন, “আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সই করেছে। খুব শিগগিরই সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরাইল তার সেনাবাহিনীকে নির্ধারিত সীমানায় সরিয়ে আনবে।”
এই ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক মহলে স্বস্তি ও আশাবাদের সঞ্চার হয়। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতি শুধু অস্ত্রবিরতি নয়, এটি মানবিক জীবনের পুনর্গঠনের সূচনা।”
এদিকে, হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, “গাজায় যুদ্ধের অবসান, দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহার, মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং বন্দি বিনিময়ের জন্য একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।” সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, এই প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতির শর্তাবলীতে উভয় পক্ষই বাস্তব অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীও চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক ধাপ কার্যকর হলে সেনারা নির্ধারিত সীমান্তে ফিরে যাবে, তবে “যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে।”
খবরে জানা গেছে, প্রথম ধাপে গাজা থেকে আংশিক সেনা প্রত্যাহার ও জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। পরবর্তী ধাপে মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজায় প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসানে এই চুক্তি এক ঐতিহাসিক সুযোগ এনে দিয়েছে। তবে আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, বাস্তবায়নের পথে নানা বাধা আসতে পারে। হামাসের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকা, গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে।
গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে লাখো মানুষ গৃহহীন, হাসপাতাল ও অবকাঠামো বিধ্বস্ত, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট চরমে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এক বড় স্বস্তির বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চুক্তিটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই বোঝা যাবে— এটি কি সত্যিই এক নতুন শান্তির সূচনা, নাকি আগের মতোই একটি সাময়িক বিরতি। তবুও, দীর্ঘ রক্তক্ষয়ের পর এই পদক্ষেপকে গাজা ও মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের জন্য এক “প্রয়োজনীয় নিঃশ্বাসের সময়” বলেই গণ্য করা হচ্ছে।