শেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টার দিকে লিমার স্বামী জুবায়ের, শ্বশুর আবু সাঈদ, শাশুড়ি ফোয়ারা এবং ননদ শারমিন মিলে লিমাকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে গলা চেপে ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে বাড়ির পাশে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় বলে অভিযোগে জানা গেছে।
রাব্বি হাসান রাশেদ, শেরপুর বগুড়া থেকে: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জামনগর গ্রামে যৌতুকের দাবিকে কেন্দ্র করে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে তিনি শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী লিমা খাতুনের (২২) পরিবার জানায়, প্রায় এক বছর আগে জামনগর গ্রামের মো. আবু সাঈদের ছেলে মোহাম্মদ জুবায়েরের সঙ্গে শরীয়ত মোতাবেক লিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা যৌতুক এবং আসবাবপত্রের জন্য লিমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টার দিকে লিমার স্বামী জুবায়ের, শ্বশুর আবু সাঈদ, শাশুড়ি ফোয়ারা এবং ননদ শারমিন মিলে লিমাকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে গলা চেপে ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে বাড়ির পাশে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় বলে অভিযোগে জানা গেছে।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি দেখে লিমার পরিবারকে খবর দিলে, তারা ছুটে এসে মেয়েকে উদ্ধার করেন। এ সময় লিমার বাবা-মাকেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করার চেষ্টা করে, তবে এলাকাবাসীর বাধায় তা থেকে বিরত থাকে। পরে আহত লিমাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় লিমার মা হেলেনা বেগম বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি হত্যা চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।