প্রাথমিক শিক্ষকদের তিন দফা দাবি, প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ চলাকালে শিক্ষকের একটি প্রতিনিধিদল দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় স্মারকলিপি দিতে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান। এর আগে সহকারী শিক্ষক পদে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করাসহ তিন দফা দাবিতে আজ শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ শুরু করেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে এ মহাসমাবেশ শুরু হয়। এতে দেশের ৬৪ জেলা থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক অংশ নিয়েছেন। ছয়টি নিবন্ধিত সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। শিক্ষকদের এ মহাসমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নেন।
শিক্ষকরা জানান, সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে চাকরি শুরু হয় ১১ হাজার টাকা বেতনে। ১৬ বছর চাকরির পরও দুইটি টাইমস্কেল যোগ হলেও সর্বোচ্চ বেতন দাঁড়ায় মাত্র ১২ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে ২০০৬ সালের বেতন কাঠামো ও পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের কারণে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত হয়েছে। ফলে একই মেয়াদে চাকরি শেষে একজন প্রধান শিক্ষক পান প্রায় ২৩ হাজার টাকা। এতে সহকারী ও প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য দাঁড়ায় আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিনের বেতন বৈষম্য নিরসন ও শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা রক্ষায় সহকারী শিক্ষক পদে ১১তম গ্রেড নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা দূর করার পাশাপাশি সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি দিতে হবে।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মনির হোসেন। এ সময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করীমসহ বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতারা।
শিক্ষকদের দাবি, বৈষম্য দূর না হলে প্রাথমিক শিক্ষার মান ধরে রাখা যাবে না, বরং এ পেশা থেকে মেধাবীরা মুখ ফিরিয়ে নেবেন। তাই অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।