ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে যাওয়া ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) নৌবহর থেকে আটক বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমসহ সব সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও জাহাজের ক্রুদের ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, এই তথ্য নিশ্চিত করেছে শহিদুল আলমের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা দৃক, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এবং আদালাহ—দ্য লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনোরিটি রাইটস ইন ইসরায়েলের বরাতে।
দৃকের ফেসবুক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফ্লোটিলার সদস্যদের প্রথমে আশদদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের কেৎজিয়েত কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এই কারাগারটি ইসরায়েলের নাগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত এবং সেখানে প্রায় দশ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফ্লোটিলা অ্যাক্টিভিস্টরা আদালাহর আইনজীবীদের জানিয়েছেন, জাহাজ দখলের পর থেকে তারা ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিন একইরকম এবং আরও ভয়াবহ সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছেন।”
এই ঘটনার পর দৃক দাবি করেছে, “সব ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি চাই, সব ফ্লোটিলা অ্যাক্টিভিস্টদের মুক্তি চাই। ফিলিস্তিন মুক্ত হবেই।” মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে সক্রিয় শহিদুল আলমের আটক হওয়া আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই অভিযান ছিল ফিলিস্তিনে চলমান মানবিক সংকটের বিরুদ্ধে এক প্রতীকী প্রতিবাদ, যেখানে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী পৌঁছাতে চেয়েছিলেন।