বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গুম এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, সেই কর্মকর্তাদের মধ্যে কর্মরত ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সেনা সদরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
আওয়ামী লীগের শাসনকালে সংঘটিত গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় প্রসিকিউশনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মোট ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এই ৩০ আসামির মধ্যে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে ১৭ জন এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) বন্দি রেখে নির্যাতনের অভিযোগে ১৩ জন আসামি রয়েছেন।
দুটি মামলাতেই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আসামির তালিকায় তাঁর প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালকের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই দুই মামলার মোট ৩০ জন আসামির মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে সামরিক বাহিনীতে কর্মরত আছেন এবং একজন লিয়েন প্রিভিলেজড রিক্রুটমেন্টে (এলপিআর) আছেন। কর্মরত ১৫ জন কর্মকর্তাকে বর্তমানে সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং একজন পলাতক রয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করা হয়।