ওমরাহর নিয়মে বড় পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব

ওমরাহর নিয়মে বড় পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে হোটেল বুকিং ও পরিবহন—সবকিছু সরকারি প্ল্যাটফর্ম নুসুক বা মাসার সিস্টেমের মাধ্যমে করতে হবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ওমরাহ পালন সবসময়ই মুসলিমদের জন্য স্বপ্নের সফর। তবে ভিসা, হোটেল বুকিং ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় জটিলতা অনেক সময় ভ্রমণকারীদের বিপাকে ফেলে। অনেকে এজেন্টের ওপর নির্ভর করেন, আবার কেউ কেউ পর্যটক ভিসায় গিয়ে ওমরাহ পালন করে থাকেন।
ওমরাহর নিয়মে বড় পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে হোটেল বুকিং ও পরিবহন—সবকিছু সরকারি প্ল্যাটফর্ম নুসুক বা মাসার সিস্টেমের মাধ্যমে করতে হবে। আরব আমিরাতের ট্যুর অপারেটররা জানিয়েছেন, এখন থেকে অনুমোদিত হোটেল ও পরিবহনই ব্যবহার করতে হবে। এমনকি ট্যাক্সি বুক করতেও বাধ্যতামূলকভাবে নুসুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে।
যারা আত্মীয়ের বাসায় থাকতে চান, তাদের ভিসার সঙ্গে হোস্টের ইউনিফাইড সৌদি আইডি যুক্ত করতে হবে। সফরের তারিখ পরিবর্তন হলেও সেই আইডি সিস্টেমে হালনাগাদ করতে হবে। পর্যটক ভিসায় আর ওমরাহ পালন সম্ভব নয়। শুধুমাত্র নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ওমরাহ ভিসা নিতে হবে, যা ই-ভিসা অথবা অনুমোদিত অপারেটরের প্যাকেজের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
ভিসার সঙ্গে জমা দেয়া সফরসূচি কঠোরভাবে মানতে হবে, যা একবার জমা দিলে পরে আর পরিবর্তন বা স্থগিত করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের বাইরে অবস্থান করলে বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। কিছু দেশের ভ্রমণকারীরা যেমন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা শেনজেন ভিসাধারীরা শর্তসাপেক্ষে ভিসা অন অ্যারাইভাল পাবেন, তবে শর্ত হলো তারা অন্তত একবার ওই দেশগুলো ভ্রমণ করেছেন এবং ভিসার মেয়াদ অন্তত এক বছর হতে হবে।
আগমনের পর বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষ হোটেল ও পরিবহনের বুকিং যাচাই করবে। কোনো তথ্য অনুপস্থিত থাকলে জরিমানা বা ভ্রমণে বাধা দেওয়া হতে পারে। শুধুমাত্র অনুমোদিত ট্যাক্সি, বাস বা ট্রেন ব্যবহার করা যাবে, অন্যথায় তা নিয়মবহির্ভূত ধরা হবে। হারামাইন এক্সপ্রেস ট্রেন রাত ৯টার পর আর চলে না, তাই এ সময়ের পর যাত্রা করতে হলে বিকল্প অনুমোদিত পরিবহন আগে থেকেই বুক করতে হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এসব নিয়ম ভাঙলে কড়া শাস্তি ও ভারি জরিমানার মুখে পড়তে হবে। নিয়ম ভঙ্গের ক্ষেত্রে শুধু হজযাত্রী নয়, এজেন্টদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্রমণকারীদের সুরক্ষা ও সেবার মান নিশ্চিত করতেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।