গুলশান চাঁদাবাজি কাণ্ডে উপদেষ্টার সম্পৃক্ততা তদন্তের দাবি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনাকে ঘিরে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা জড়িত আছেন কিনা—তা স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দাবী জানান। তিনি বলেন “গুলশানকাণ্ডের যদি বিস্তারিত তদন্ত না হয়, তাহলে উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠবে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও নিরপেক্ষ পদক্ষেপ জরুরি।”
এসময় তিনি আরো বলেন, “যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে কিংবা বয়কটের পথে যাবে, তারা জাতীয় রাজনীতি থেকে মাইনাস হয়ে যাবে।”
এদিকে চাঁদাবাজির ঘটনায় নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেয় বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু একজন উপদেষ্টার সঙ্গে ভোর রাতে গুলশানের একটি হোটেলের সামনে সাক্ষাতের কথা স্বীকার করছেন। এই বক্তব্য প্রকাশের পর থেকেই রাজনীতির অঙ্গনে গুঞ্জন শুরু হয়।
তবে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অপুর স্ত্রী কাজী আনিশা দাবি করেন, তার স্বামীর কাছ থেকে এই স্বীকারোক্তি জোরপূর্বক আদায় করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাজানো হয়েছে এবং এর পেছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, পলাতক জানে আলম অপুকে রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্ককে গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ।
বর্তমানে আটক চারজন প্রাপ্তবয়স্ক আসামি আদালতের রিমান্ডে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয়, উদ্দেশ্য ও সম্ভাব্য রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি নেতার মন্তব্য এবং অপুর স্ত্রী’র অভিযোগের পর গুলশানকাণ্ড রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।