অবশেষে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বাদ দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের পরিবর্তে সরকারি কর্মকর্তা বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার বিধান রাখা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অযাচিত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রোধে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি গঠন সংক্রান্ত নীতিমালা ছিল অন্যতম। কমিশন জানায়, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব বিস্তার ঘটছে। ফলে এই নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশোধিত প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়—রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পরিবর্তে সরকারি কর্মকর্তা বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হবে। নীতিমালাটি ইতিমধ্যে সচিব কমিটিতে অনুমোদিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাজনৈতিক নেতাদের অযাচিত হস্তক্ষেপে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল, তাই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। ফলে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জায়গা আর থাকছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আশা করছে, এ সিদ্ধান্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তবে এবিষয়ে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এখনো কোনো বিবৃতি বা প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি।