বগুড়া শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযান

সেলিম সরকার, বগুড়া:
বগুড়া শহরের যানজট নিরসনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বগুড়া সদর ট্রাফিক পুলিশ। শনিবার সকাল থেকে সদর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. সালেকুজ্জামান এর নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশের একটি দল শহরের সাতমাথাসহ আশেপাশের সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি জানান, যানজট নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথার সবগুলো সড়কের মুখে সিএনজি স্ট্যান্ড ও রিক্সার জটলার কারণে সাতমাথায় সপ্তপদী মার্কেটের সামনে ও আশেপাশের এলাকায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। যানজটের কারণে সাধারণ পথচারীদের সড়ক পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
বগুড়া শহরে অনুমোদিত রিক্সার সংখ্যা ৬ হাজারের কিছু বেশি। কিন্তু বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে ৬০ হাজারের বেশি রিক্সা ও ইজিবাইক চলাচল করে এই শহরে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক শেরপুর রোডের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে জটলা পাকিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা অটো রিক্সা ও ইজিবাইকের কারণে মাঝেমধ্যেই যানজটের সৃষ্টি হয়।
হাজার হাজার অবৈধ এসব অটোরিক্সা ও ইজিবাইকের চাপে শহর ক্রমশ স্থবির হয়ে পড়ছে। ইতোপূর্বে পৌরসভার তরফ থেকে এসব যানবাহনের নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রনের একটি উদ্যোগ নেয়া হলেও রাজনৈতিক চাপসহ নানা কারণে তা আর বাস্তবায়ন করা যায়নি।
বগুড়া শহরের সাতমাথায় ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন যাবত আপেল,কমলা, পেয়ারাসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফলের দোকান বসে। এর পাশাপাশি ঝালমুড়ি, ছোলা, ডাব, পপকর্ন, জুতা ও ফাস্টফুডের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা চলে ফুটপাতে। তালাচাবি মেরামতের দখলে সাতমাথার গুরুত্বপূর্ণ ফুটপাতের একাংশ। এর বাইরে মটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার পার্কিংয়ের দখলে থাকে বাকিটা।
সন্ধ্যার দিকে সাতমাথায় যখন ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ে, ঠিক তখনই সস্তায় বিক্রি করা রেডিমেড পোশাকের বেশকিছু ভাসমান ব্যবসায়ী সাতমাথার কেন্দ্রস্থল দখল করে তাদের ব্যবসার পসরা সাজান। দামে সস্তা হওয়ায় এসব দোকানের চারদিকে সাধারণ ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় থাকে। ভীড়ের কারণে এসব দোকান টপ্কে সড়ক পারাপারও কঠিন হয়ে পড়ে।
জানা যায়, বিগত সময়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় ভাসমান এসব ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে ব্যবসা বাণিজ্য করেছেন। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর প্রায় ২ সপ্তাহ সাতমাথা ও এর আশেপাশে এসব দোকান তেমন একটা ছিলনা। কিন্তু দু’মাস না যেতেই আবারো আগের অবস্থায় ফিরতে শুরু করে শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা ও এর আশেপাশের এলাকা।