উড়োজাহাজের টিকিট দুর্নীতিতে হাজার কোটি টাকা লুট: বিমান উপদেষ্টা

উপদেষ্টা জানান, দেশে প্রায় পাঁচ হাজার নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সি থাকলেও আরও প্রায় ২০ হাজার অনিবন্ধিত এজেন্ট কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। পান দোকান থেকে শুরু করে নানা জায়গায় টিকিট বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে জনশক্তি রফতানিকারকদের নিজস্ব এজেন্সির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এ দুর্নীতি চলে আসছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
উড়োজাহাজের টিকিট বিক্রিতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, সিন্ডিকেট করে টিকিটের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে, এতে কেউ রেহাই পাবে না।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, দেশে প্রায় পাঁচ হাজার নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সি থাকলেও আরও প্রায় ২০ হাজার অনিবন্ধিত এজেন্ট কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। পান দোকান থেকে শুরু করে নানা জায়গায় টিকিট বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে জনশক্তি রফতানিকারকদের নিজস্ব এজেন্সির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এ দুর্নীতি চলে আসছে।
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “সিন্ডিকেটে জড়িত যাদের পাওয়া যাবে, প্রত্যেকের ট্যাক্স ফাইল খোলা হবে। কেউ পার পাবে না—সে পরিবারের সদস্য, বন্ধু বা পরিচিত যে-ই হোক। কিছু জরিমানা করে এ সমস্যা শেষ হবে না, গোড়া থেকে সমাধান করতে হবে।”
বশিরউদ্দীন আরও জানান, ট্রাভেল এজেন্ট ও জনশক্তি রফতানিকারকদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনতে লাইসেন্স বাতিল ও কারাদণ্ডের বিধান প্রয়োগ করা হবে। প্রয়োজনে এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল ম্যানেজমেন্টে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে বিদেশি কোম্পানি নিয়োগ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৩ সালের ট্রাভেল এজেন্সি আইন অনুযায়ী টিকিটে দাম, তারিখ ও নাম বাধ্যতামূলক। এ নিয়ম না মানলে সংশ্লিষ্ট এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল ও কারাদণ্ড দুটোই হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।