যমুনার ভাঙন রোধে ধুনট-সারিয়াকান্দিতে স্থায়ী প্রকল্পের উদ্যোগ

এলাকার চাহিদা, জনগণের কষ্ট এবং প্রকৃতি বিবেচনায় রেখে একটি বৃহৎ প্রকল্প প্রণয়ন করা হবে, যা বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার নদী ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। নকশা অনুযায়ী, সারিয়াকান্দির ইছামারা থেকে ধুনট উপজেলার শহরাবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় এবং আরও ৪ কিলোমিটার নদী তীর মেরামত ও প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
মাহফুজ মণ্ডল, বগুড়া: যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের হাত থেকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলাকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) একটি বড় আকারের স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রকল্প প্রস্তাবনার ভিত্তিতে স্টাডির আলোকে নকশা প্রণয়নের জন্য নদী ভাঙন কবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন পাউবো’র প্রধান প্রকৌশলী (নকশা) মাহফুজুর রহমান।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সরেজমিনে পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলার পাউবো’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক, পলি দাস এবং উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, “যমুনা নদী ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে এবং বর্তমানে সেই প্রস্তাবনার ভিত্তিতে স্টাডি চলছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার গোদাখালীসহ বেশ কিছু এলাকায় নদী ভাঙন চিহ্নিত হয়েছে। এসব এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের চাহিদা ও সমস্যার কথা শুনেছি।”
তিনি আরও জানান, এলাকার চাহিদা, জনগণের কষ্ট এবং প্রকতি বিবেচনায় রেখে একটি বৃহৎ প্রকল্প প্রণয়ন করা হবে, যা বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার নদী ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
নকশা অনুযায়ী, সারিয়াকান্দির ইছামারা থেকে ধুনট উপজেলার শহরাবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় এবং আরও ৪ কিলোমিটার নদী তীর মেরামত ও প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রকল্পের নকশা সম্পন্ন হওয়ার পর প্রস্তাবনা (Proposal) এবং বিস্তারিত প্রকল্প পরিকল্পনা (DPP) প্রণয়ন করা হবে। প্রকল্পটি অনুমোদন ও বাস্তবায়ন হলে বগুড়াবাসী বিশেষ করে নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোর মানুষ দীর্ঘমেয়াদে নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন পাউবো’র কর্মকর্তারা।