‘বাংলাদেশ জেলের’ নতুন নাম ‘কারেকশন সার্ভিস বাংলাদেশ’

আইজি প্রিজন বলেন, “কারাগারকে আমরা শুধু শাস্তি কার্যকরের স্থান হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা চাই বন্দিরা এখানে থেকে শিক্ষা নিক, দক্ষতা অর্জন করুক এবং সমাজে ফিরে গিয়ে একজন সুস্থ মানুষ হিসেবে নতুন জীবন শুরু করুক। তাই ‘কারেকশন সার্ভিস বাংলাদেশ’ নামটি এই লক্ষ্য ও দর্শনকে প্রতিফলিত করবে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের জেলখানার নাম পরিবর্তন করে ‘কারেকশন সার্ভিস বাংলাদেশ’ রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কারা অধিদপ্তর। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়, বরং বন্দিদের সংশোধন, পুনর্বাসন ও সমাজে পুনঃএকীকরণের ওপর জোর দিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে কারা সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
আইজি প্রিজন বলেন, “কারাগারকে আমরা শুধু শাস্তি কার্যকরের স্থান হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা চাই বন্দিরা এখানে থেকে শিক্ষা নিক, দক্ষতা অর্জন করুক এবং সমাজে ফিরে গিয়ে একজন সুস্থ মানুষ হিসেবে নতুন জীবন শুরু করুক। তাই ‘কারেকশন সার্ভিস বাংলাদেশ’ নামটি এই লক্ষ্য ও দর্শনকে প্রতিফলিত করবে।”
কারা মহাপরিদর্শক জানান, দীর্ঘদিনের জনবল সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি আরও দেড় হাজার জনবলের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বন্দিদের সেবার মানোন্নয়নে নারায়ণগঞ্জে একটি কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বন্দিদের জরুরি চিকিৎসা ও বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হবে।
সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন আরও জানান, বন্দিদের অভিযোগ ও সমস্যা শোনার জন্য সরাসরি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়। অনেক সময় বন্দিরা নিজ উদ্যোগে ফোন করে বিভিন্ন বিষয় জানান। এতে বন্দিদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জেলখানার নাম পরিবর্তন কেবল প্রতীকী পদক্ষেপ নয়; বরং এটি বন্দিদের প্রতি রাষ্ট্রের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ। নামের সঙ্গে সঙ্গে কার্যক্রমেও পরিবর্তন আনা গেলে তা বন্দিদের পুনর্বাসনে বড় ভূমিকা রাখে।