আহত নুরের খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, বিদেশে চিকিৎসার আশ্বাস

বিবৃতিতে বলা হয়- নুর ও তার দলের আহত সদস্যদের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় খরচে তাদের বিদেশে পাঠানো হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, কেবল নুরের ওপর হামলা নয়, এ ধরনের সহিংসতা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনার ওপর আঘাত।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার দুপুর ১টায় মোবাইলে ফোন করে তিনি নুরের খোঁজখবর নেন এবং কাকরাইল হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষের পর আল রাজী টাওয়ারের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন নুরসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়- নুর ও তার দলের আহত সদস্যদের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় খরচে তাদের বিদেশে পাঠানো হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, কেবল নুরের ওপর হামলা নয়, এ ধরনের সহিংসতা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনার ওপর আঘাত।
এতে বলা হয়- ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হবে এবং প্রভাবশালী যেই হোক না কেন, দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, নুরুল হক নুর ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তরুণদের সংগঠিত করে তিনি শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখেন। গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে তাকে গ্রেপ্তার করে নির্মম নির্যাতন করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, নুরের মতো নেতারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, তাদের আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে সরকার পুনর্ব্যক্ত করে, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন বানচাল বা বিলম্বিত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। জনগণের ইচ্ছাই জয়ী হবে, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হতে দেওয়া হবে না।