গোপালগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

গোলাম রব্বানী, গোপালগঞ্জ :
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫” উপলক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের “স্বচ্ছতা” সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান (যুগ্মসচিব)।
কর্মশালার শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন ডিসি অফিস মসজিদের ইমরুল হোসাইন এবং গীতা পাঠ করেন জেলা তথ্য অফিসের অফিস সহায়ক সঞ্জয় বল্লব। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা তথ্য অফিসার সুলাইমান।
কর্মশালায় “টাইফয়েড টিকা বিষয়ক উপস্থাপনা এবং টিকা সম্পর্কিত গুজব ও উত্তরণের উপায়” বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক। এ সময় www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া প্রদর্শন করা হয়।
বিশেষ অতিথিরা বলেন, টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের মাঝে টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে সাংবাদিকদের সঠিক ও ইতিবাচক তথ্য প্রচার করতে হবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছাঃ জ্যোৎস্না খাতুন, জেলা শিক্ষা অফিসার খোঃ রুহুল আমীন,স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) বিশ্বজিত কুমার পাল, সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউল হক।
বক্তারা আরও বলেন, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের সকল শিশুকে বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে। এ জন্য সকল শিশুকে আগেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সকল শিশু যাতে এই টিকার আওতায় আসে এবং স্বউদ্যোগে রেজিস্ট্রেশন করে নেয়, সেজন্য ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন— “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও গণমাধ্যম একসঙ্গে কাজ করলে গোপালগঞ্জ জেলায় এ কর্মসূচি শতভাগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে।”
অনুষ্ঠানে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতি:
গোপালগঞ্জ জেলায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে মোট ১৮ দিন।
প্রথম ১০ দিন:
স্কুল ও মাদ্রাসায় টিকা দেওয়া হবে ২ লাখ ২৮ হাজার ৫২৬ জনকে।
এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৫৮৪ জন (৪৬%)।
পরবর্তী ৮ দিন:
কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে ১ লাখ ১৬ হাজার ১৪৩ জনকে।
এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ২৪ হাজার ৪৫৭ জন (২১%)।মোট রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪১ জন, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩৭%।
জেলায় মোট ১,২৫১টি স্কুল ও ৫০১টি মাদ্রাসা—মোট ১,৭৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা প্রদান করা হবে।
টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি ১২ অক্টোবর ২০২৫ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।
– বাংলার ২৪ ঘণ্টা