ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে কাজ করছে টাস্কফোর্স, ৭ দিনে আদায় ১৭ লাখ টাকা

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট কালোবাজারি রোধ এবং ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২৩টি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। গত ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনে অভিযান চালিয়ে মোট ১৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা ও ভাড়া আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১২ লাখ ২৯ হাজার টাকা টিকিটের প্রকৃত মূল্য বাবদ আদায় করা হয়।
অভিযান চলাকালে টাস্কফোর্সের সদস্যরা যাত্রীদের টিকিটে মুদ্রিত নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর যাচাই করেন এবং যাত্রী কর্তৃক প্রদর্শিত পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী ৬ হাজার ২৭৮ জন এবং অন্যের আইডি ব্যবহার করে টিকিটে ভ্রমণকারী ১ হাজার ৮৫৩ জন যাত্রী শনাক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ১৩টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১০টি টাস্কফোর্স কাজ করছে। পূর্বাঞ্চলে বিনা টিকিটে ৩ হাজার ২৫৭ জন এবং অন্যের আইডি থেকে ক্রয়কৃত টিকিটধারী ৯৮৬ জন যাত্রী শনাক্ত করা হয়। তাদের কাছ থেকে নিয়মিত ভাড়া বাবদ ৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৫০ টাকা এবং জরিমানা বাবদ ২ লাখ ৬ হাজার ৪১৫ টাকা, মোট ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫ টাকা আদায় করা হয়।
পশ্চিমাঞ্চলে বিনা টিকিটে ৩ হাজার ২১ জন এবং অন্যের আইডি ব্যবহার করে টিকিটে ভ্রমণকারী ৮৬৭ জন যাত্রী শনাক্ত করা হয়। তাদের কাছ থেকে নিয়মিত ভাড়া বাবদ ৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা এবং জরিমানা বাবদ ২ লাখ ৯০ হাজার ৮৭১ টাকা, মোট ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৭ টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ৫৩টি মোবাইল নম্বর ব্লক করার সুপারিশ করা হয়েছে।
রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়মিত টিকিট চেকিংয়ের পাশাপাশি এই টাস্কফোর্সের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দায়িত্ব পালনকালে টাস্কফোর্সের সদস্যরা যাত্রীদের টিকিট যাচাইসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং টিকিটবিহীন যাত্রী বা অন্যের টিকিটে ভ্রমণকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে রেলওয়ে যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল, যা ভবিষ্যতে টিকিট কালোবাজারি রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।