নাসিরনগরে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

খ,ম,জায়েদ হোসেন, (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া) প্রতিনিধি
স্বাভাবিকভাবে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে শীতকালীন সবজি ফসল ওঠানো হয়। কিন্তু ওই সময় বাজারে সরবরাহ বেশি হওয়ায় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পায় না। এদিকে বর্তমানে বর্ষার মৌসুম শেষে বাজারে সবজির অপর্যাপ্ততা তৈরি হওয়ায় দামও বেশি, চাহিদাও থাকে বেশি। সব কিছু মাথায় রেখে আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত দিন পাড় করছেন কৃষকরা।
দেশের শস্য ভান্ডার খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম শীতকালীন সবজির চাষ শুরু হয়েছে।
এখনও শীত মৌসুম শুরু না হলেও এখানকার চাষিরা কিছু কিছু শীতের সবজি বাজারে তুলতে শুরু করেছে। উপজেলায় বিভিন্ন মাঠে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি। বাজারেও উঠেছে কিছু আগাম শীতকালীন সবজি।তবে দাম অনেক চড়া। আমদানি কম, দাম বেশি এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সিংহ গ্রাম, আলাক পুর, তিনপাড়া, বাটপাড়া,বুড়িশ্বর, বাঘি, খাগালিয়া, সোনাতলা, বিভিন্ন এলাকাজুড়ে আবাদ হচ্ছে- শিম, মুলা, ফুলকপি, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, কাকরোল, লাউ, লালশাক, ধনিয়াপাতা, পালংশাক ইত্যাদি আগাম শীতকালীন সবজি।
উঁচু জমিগুলোতে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন, এতে মুখে হাসি ফুটেছে তাদের। ভালো দাম পাওয়ার আশায় তারা শীতের আগেই যাতে শীতকালীন সবজি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাতে পারে সেই প্রচেষ্টায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। এতে চাষিরা প্রতিবছরই লাভবান হচ্ছেন।
তিন পাড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক শ্রীবাস সরকার বলেন, বর্ষার জল শুকিয়ে যাওয়ায় এখন শীতকালীন সবজি চাষের উপযুক্ত সময়। ভালো দামে বিক্রি করবো এই আশায় আগাম সবজি চাষ করছি।
৩৫ শতাংশ জমিতে টমেটো, ২৭ শতাংশ জমিতে কপি চাষ করছি। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে ভালো দামে বিক্রি করে, লাভবান হবে পারবো বলে আশা করছি।