স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড,অর্থনীতিতে অস্থিরতা
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটিই দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিশ্ব রাজনীতির অস্থিরতা, অর্থনৈতিক ঝুঁকি আর ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমার আশায় ক্রমেই বাড়ছে স্বর্ণের দাম। বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। টানা ৩ দফায় বেড়েছে মূল্যবান ধাতুটির দাম।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন দাম সমন্বয়ের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটিই দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মূল্যবান ধাতুর বিশ্লেষক সুকি কুপার রয়টার্সকে বলেছেন, ‘স্বর্ণের বাজার এখন মৌসুমভিত্তিক ভোক্তা চাহিদার শক্তিশালী সময়ে প্রবেশ করছে। এর সঙ্গে সেপ্টেম্বর মাসের ফেড বৈঠকে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা। আমরা মনে করি নতুন রেকর্ড তৈরি হবে।’
সিএমই ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, বাজার সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখে ফেডের বৈঠকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমানোর প্রায় ৯২% সম্ভাবনা ধরে নিচ্ছে। সুদবিহীন স্বর্ণ সাধারণত নিম্ন সুদের পরিবেশে বেশি উপকৃত হয়। এতে সার্বিকভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়বে।
বিশ্লেষকদের মতে, এ বছর স্বর্ণের রেকর্ড ভাঙা দামের পেছনে প্রধান কারণগুলো হলো— কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর টেকসই ক্রয়, মার্কিন ডলার থেকে বৈচিত্র্যকরণ, ভূরাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক উত্তেজনার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা এবং ডলারের সার্বিক দুর্বলতা।
বাজার বিশ্লেষক ফাওয়াদ রাজাকজাদা বলেন, ‘তথ্য প্রকাশের আগেই স্বর্ণের দাম রেকর্ড গড়েছিল। পরিসংখ্যান দুর্বল আসায় দামকে আরও উর্ধ্বমুখী হতে সাহায্য করেছে। পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৬০০ ডলার।’
বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। টানা ৩ দফায় বেড়েছে মূল্যবান ধাতুটির দাম। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৪৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩১ বার, আর কমেছে মাত্র ১৬ বার।