বরগুনার আমতলীতে দীর্ঘ ২১ বছর পর শিশু পার্ক উদ্বোধন

মহিবউল্লাহ কিরন, বরগুনা :
বরগুনার আমতলীতে ২০০৩ সালে নির্মিত পরিত্যাক্ত শিশু পার্কটি নতুন করে সংস্কারের পর নান্দনিকভাবে সাজিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে। শিশুদের বিনোদনের জন্য এই পার্কটি এখন থেকে উন্মুক্ত থাকবে।
বৃহস্পতিবার ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিকেল ৫ টায় উপজেলা চত্বরের ভিতরে ইউএনও‘র বাসভবন সংলগ্ন মাঠের পুরনো পার্কটি নতুন করে ব্যবহার উপযোগী করে উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খান ও তার পরিবারবর্গ, উপজেলা সহকারী ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী, সাংবাদিক, কচি-কাচা শিশু কিশোর ও স্থানীয় অভিভাবকবৃন্দ।
উদ্বোধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকনুজ্জামান বলেন, “আমতলী শহরটি অবকাঠামোগতভাবে খুবই অনুন্নত। দুঃখের বিষয় পড়ালেখার পাশাপাশি শিশুদের মেধা বিকাশ ও চিত্ত বিনোদনের কোন ব্যবস্থা এখানে নেই।
তিনি বলেন, “আমার বাসভবন সংলগ্ন পরিত্যক্ত শিশু পার্কটিতে শিশুদের কথা মাথায় রেখে কিছুটা আধুনিক ও নান্দনিকের ছোঁয়া দিতে পেরেছি। তিনি আমতলীতে স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার এবং জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে খুব শীঘ্রই ওয়াকওয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ সহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগের কথা জানান।
শিশু নাফিসা অশ্রু শিক্ত কন্ঠে বলেন স্যারকে ধন্যবাদ আমাদের খেলার ব্যবস্থা করার জন্য। শিশু আরফা, হুমাশা, অরনিসহ অনেক শিশু ইউএনও’র সহধর্মিনীর হাত থেকে চকলেট পেয়ে খুব খুশি হয়।
স্থানীয় সাংবাদিক মিরাজ বলেন পরিত্যক্ত, জরাজীর্ণ শিশু পার্ককে আধুনিকায়নের নেপথ্যের নায়ক এবং যার কারণে আমতলী উপজেলায় উন্নয়নমূলক আরো অনেক কিছু করা সম্ভব হবে তিনি হলেন আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খান।
জানা যায়, বরগুনা আমতলী উপজেলার একমাত্র শিশুপার্কটি সংস্কারের অভাবে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে কোমলমতি শিশুরা চিত্ত বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিগত ২০০৩ সালে শিশুদের বিনোদনের কথা চিন্তা করে তৎকালীন সরকার এলজিইডির মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্বাহী অফিসারের বাসভবন সংলগ্ন পূর্বপাশে একটি খোলা মাঠ ঘিরে এ শিশুপার্কটি স্থাপন করেন। সেসময় খেলার জন্য দোলনা, সিড়ি মই, ছাতা, ঘোড়া ও মাঠের ভেতরের চারদিকে বেঞ্চ নির্মাণ করা হয়। শিশুপার্কটি স্থাপনের পর থেকে শিশুদের বেশ আনাগোনা ছিল।
শিশুরা পার্কটিতে এসে খেলাধুলা করে সময় কাটাতো। কিন্তু নির্মাণের ২/৩ বছর যেতে না যেতেই শিশুপার্কে স্থাপিত লোহা ও প্লেনসিট দিয়ে তৈরি খেলনা গুলোতে মরিচা ধরতে শুরু করে। এগুলো সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ধীরে ধীরে খেলনাগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
আমতলীর সুশীল সমাজ ইউএনও’র এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।