বাংলাদেশ-পাকিস্তানের অনুপ্রবেশেই ভারতে বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা: অমিত শাহ

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন যে, দেশের মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণ উচ্চ জন্মহার নয়, বরং বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা এর জন্য দায়ী। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দিল্লিতে ‘অনুপ্রবেশ, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন এবং গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। অমিত শাহ ১৯৫১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়ের তথ্য তুলে ধরে জনসংখ্যার এই ভারসাম্যহীনতাকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
অমিত শাহ আরও অভিযোগ করেন যে, কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করছে। তাঁর মতে, এটি একটি জাতীয় সমস্যা এবং ভারতের গণতন্ত্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি।
তিনি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন তোলেন, “যদি কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করে এবং জেলা প্রশাসন তাদের সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কীভাবে এই অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে?” তিনি আরও বলেন, “যখন কেউ শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না, তখন তারা নিজেদের আত্মার সঙ্গে প্রতারণা করছে।”
তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, আসামে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মুসলিম জনসংখ্যার দশকব্যাপী বৃদ্ধির হার ছিল ২৯.৬ শতাংশ, যা অনুপ্রবেশ ছাড়া সম্ভব নয়। একই সাথে পশ্চিমবঙ্গের অনেক জেলায় এই বৃদ্ধির হার ৪০ শতাংশ এবং কিছু সীমান্তবর্তী এলাকায় তা ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে। অমিত শাহের মতে, এটি অতীতে অনুপ্রবেশের স্পষ্ট প্রমাণ। ভারতের এই মন্ত্রী ঝাড়খণ্ডে উপজাতি সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার কারণ হিসেবেও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকে দায়ী করেন।