মিরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৬, নিখোঁজ বহু

দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, প্রথমে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, পরে আরও ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তিনি বলেন, “আমাদের অভিযান এখনও চলমান। আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমলেও ধোঁয়ার কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে।”
অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল ও আশপাশের হাসপাতালগুলোতে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে ফিরছেন অসংখ্য মানুষ। অনেকে প্রিয়জনের ছবি হাতে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। স্বজনদের অভিযোগ, এখনও অনেকের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গার্মেন্টস ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। তিনি বলেন, “পোশাক কারখানার ভেতরে ঢুকতে পারলেও রাসায়নিকের গুদামে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধারকাজে সহায়তা করছেন। এই অবস্থায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”
সব মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে।
এই অগ্নিকাণ্ড রাজধানীর শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং রাসায়নিক সংরক্ষণের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।