ভারতে পালিয়েছেন জেনারেল কবীর: জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

কবীর আগেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আশঙ্কায় গত এক মাস ধরে গোপনে কলকাতায় যাতায়াত করছিলেন। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছেন অবসরপ্রাপ্ত লে. জে. আকবর হোসেন। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল আজীমকেও এই একই কমপ্লেক্সে খুন করা হয়েছিল।
বাংলার ২৪ ঘণ্টা রিপোর্ট:
অপরাধে অভিযুক্ত পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। গত ৯ অক্টোবর তামাবিল সীমান্ত দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতে প্রবেশ করে তিনি এখন কলকাতার নিউ টাউনের সানজিবা গার্ডেন কমপ্লেক্সে সপরিবারে অবস্থান করছেন বলে নিরাপত্তা সূত্রে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত থেকে গুমের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকেই তিনি লাপাত্তা। সেনাসদর জানিয়েছে, কবীরকে “ইলিগ্যালি অ্যাবসেন্ট” ঘোষণা করা হয়েছে এবং সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কবীর আগেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আশঙ্কায় গত এক মাস ধরে গোপনে কলকাতায় যাতায়াত করছিলেন। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছেন অবসরপ্রাপ্ত লে. জে. আকবর হোসেন। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল আজীমকেও এই একই কমপ্লেক্সে খুন করা হয়েছিল।
জেনারেল কবীর শেখ হাসিনার সামরিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ডিজিএফআইয়ের কাউন্টার টেররিজম ব্যুরোর পরিচালক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গুম, নির্যাতন ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি সহকর্মী জিয়া ও মাহবুব রশিদের সঙ্গে মিরপুর, ভাষানটেক ও ইসিবি এলাকায় কোটি টাকার জমি বাণিজ্যের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বিষয়টিকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “একজন সার্ভিং জেনারেল কীভাবে পালাতে পারে, তার জবাব সেনাবাহিনীর দিতে হবে।”
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক প্রফেসর এম শহীদুজ্জামানও এটিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি আখ্যা দিয়ে বলেন, “ভারত যদি এসব জেনারেলকে আশ্রয় দেয়, তবে সেটি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর বিপদ।”
৮ অক্টোবর গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, যার মধ্যে ২৫ জনই সেনা কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিল মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ।