গাজার স্বশাসিত অঞ্চলে এখন প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করছে। বর্তমানে গাজাকে দুর্ভিক্ষ অঞ্চল ঘোষণা করেছে এবং ইসরাইলকে মানবিক সহায়তা সরবরাহে বাধা দেয়ার জন্য দায়ী করেছে। যা তাদের মতে একটি ‘পরিকল্পিত বাধা’।শুক্রবার সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা শহর এখন ‘একটি বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে’ এবং সীমিত খাদ্য সরবরাহের অনুমতি দেয়া সামরিক কার্যকলাপে প্রতিদিনের বিরতি আর সেখানে প্রযোজ্য হবে না।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর গাজাকে একটি ‘বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। গত প্রায় দুই বছর ধরে চলতে থাকা ধংসাত্মক এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় শহর গাজাকে দখল নিতে আক্রমণের তীব্রতা বাড়ানোর আগমুহূর্তে এমন ঘোষণা দিলো ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

গাজায় ইসরাইলের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ কমাতে এবং জাতিসঙ্ঘ উপত্যকাটিকে দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী কিছুটা হলেও দেশের ভেতরে ও বাইরে বেশ চাপের মুখে রয়েছে।

তবে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী যুদ্ধ আরো ছড়িয়ে দিতে ও গাজা শহরের পুরো নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে নিতে সবরকমের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ বিষয়ে আজ দেশটির সেনাবাহিনীর একজন আরবিভাষী মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আর অপেক্ষা করছি না।’

আভিচায় আদরাই নামের ওই মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় লিখেছেন, ‘গাজা শহরে আক্রমণের জন্য আমরা প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি এবং এই আক্রমণ এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা গাজা শহরের উপকণ্ঠে পূর্ণ শক্তি নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

ইসরাইলি সামরিক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির শুক্রবার এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, তার বাহিনী গাজা শহর এলাকায় আক্রমণ বৃদ্ধি করছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে তাদের প্রচেষ্টা আরো তীব্র করা হবে।

এদিকে জাতিসঙ্ঘ তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, গাজার স্বশাসিত অঞ্চলে এখন প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করছে। সংস্থাটি গত সপ্তাহে গাজাকে দুর্ভিক্ষ অঞ্চল ঘোষণা করেছে এবং ইসরাইলকে মানবিক সহায়তা সরবরাহে বাধা দেয়ার জন্য দায়ী করেছে। যা তাদের মতে একটি ‘পরিকল্পিত বাধা’।

শুক্রবার সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা শহর এখন ‘একটি বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে’ এবং সীমিত খাদ্য সরবরাহের অনুমতি দেয়া সামরিক কার্যকলাপে প্রতিদিনের বিরতি আর সেখানে প্রযোজ্য হবে না।

সামরিক বাহিনী জনগণকে অবিলম্বে চলে যাওয়ার আহ্বান জানায়নি। তবে আদরাই বলেন, এই সপ্তাহের শুরুতে শহরটি খালি করা ‘অনিবার্য।

সূত্র : এএফপি