আমি আয়নাঘরে ছিলাম : আমির হামজা

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও আলোচিত ইসলামি বক্তা আমির হামজা আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেছেন, “আয়নাঘরের কথা যেহেতু সামনে এসেছে, আমি নিজে সেখানে ছিলাম। এ যে কত কঠিন জায়গা, সেখানে না থাকলে বোঝানো যাবে না। আয়নাঘর আবার ফিরে আসবে, এটা আমরা মেনে নেব না।” তিনি আরও বলেন, “আয়নাঘর ফিরে আসবে না, এই জন্যই আমাদের এই পাঁচ দফা।”
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে কুষ্টিয়া শহরের প্রধান সড়কে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালু, জুলাই সনদ ঘোষণা ও বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি কুষ্টিয়া জেলা শাখা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই মানববন্ধনে অংশ নেন জেলা ও শহর জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম। তিনি বলেন, “আমরা যে দাবিগুলো তুলে ধরেছি, এগুলো শুধু জামায়াতে ইসলামীর দাবি নয়। ৩১টি দলের মধ্যে ২৫টি দল কোনো না কোনোভাবে এ দাবিগুলোর সঙ্গে একমত হয়েছে। যদি সরকার গরিমা করে, না মানে, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।”
ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও স্বৈরাচার শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতিতেই ভোটগ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি জুলাই সনদ ঘোষণা করে নির্বাচনের আগেই তা বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
বক্তারা আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব। তারা মনে করেন, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে পিআর পদ্ধতি ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, শহর জামায়াতের আমির এনামুল হকসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচি শেষে নেতারা জানান, দাবি আদায়ে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পরিকল্পনা রয়েছে।